সাতদিনব‍্যাপী নক আউট ফুটবল প্রতিযোগিতা

25th July 2021 7:56 pm হুগলী
সাতদিনব‍্যাপী নক আউট ফুটবল প্রতিযোগিতা


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : তৃনমুল কংগ্রেসের খেলা হবে দিবস উপলক্ষে সাতদিন ব্যাপি আমন্ত্রণ মূলক নকআউট ফুটবল খেলা শুরু হল শেওড়াফুলি রাজমাঠে। মোট আটটি টিমের খেলা হবে। বৈদ্যবাটী পৌরসভার প্রশাসনিক সদস্য সুবীর ঘোষের উদ্যোগে খেলার আয়োজন।  খেলারটির শুভ সুচনা করেন সপ্তগ্রাম বিধানসভার তৃনমুল বিধায়ক তপন দাসগুপ্ত। সুবীর ঘোষ বলেন    করোনা আবহ মেনে খেলাটি আয়োজন করা হয়েছে। করোনার  আবহে মানুষ বাড়িতে বসে রয়েছে। মন খারাপ। মাঠে দর্শক এলে কাউকেতো বারন করা যায় না। সবাইকে বলা হচ্ছে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এবং মাস্ক পড়ে থাকার জন্য। এই খেলটির শুরু হবার পাশাপাশি রাজনৈতিক খেলা শুরু হয়ে গেছে। বিধানসভা ভোটে তৃনমূলের সুপ্রিম মমতা ব্যানার্জী খেলা দেখিয়েছে। বিরোধী দল গুলো শুয়ে পরেছে। আবার ২০২৪ সালে সর্বভারতীয়  স্তরে খেলা হবে। যেখানে প্রধান ভুমিকায় থাকবে তৃনমুল কংগ্রেস।খেলার মাধ্যমে সম্প্রীতির কথা বলবো, করোনার বিরুদ্ধে  লড়ায়ের কথা বলবো। খেলার মাঠে প্রেগাসাসের বিরুদ্ধে প্রচার চালালেন তৃনমুল নেতা সুবীর ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন চাঁপদানি বিধানসভার বিধায়ক অরিন্দম গুইন। রাজ্যসরকারের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বেচারাম মান্না, তৃনমূল নেতা প্রবীর পাল, প্রাক্তন চেয়ারম্যান অজয়প্রতাপ সিং।  ফুটবলার রহিম নবি,হেমন্ত ডোরা সহ তৃনমুলের স্থানীয় নেতৃত্ব।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।